গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘যাচাই’-এর যাত্রা শুরু করার পর ২০১৭ সালে আমরা প্রায় ৭০টি সত্যতা যাচাই পোস্ট প্রকাশ করি। এই বছর মানুষের মধ্যে এসব বানোয়াট তথ্যবিভ্রাটের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও, অপরদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ন ছাড়া তথাকথিত ‘নিউজ পোর্টালগুলো’র সংখ্যাও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। যার ফলে সত্য সংবাদের প্রতিও মানুষের বেড়েছে সন্দেহপ্রবণতা।
বাংলাদেশের গুজবময় অনলাইন জগতে নতুন সংযোজন হিসেবে এই বছর যোগ হয়েছে, মানুষের মধ্যে ফ্যাক্ট-চেকিং জার্নালিজমের ব্যাপারে সচেতনতা। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ফ্যাক্ট চেকার ওয়েবসাইট হিসেবে ‘যাচাই’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে এবং সাথে সাথে ‘বিডি ফ্যাক্ট চেক’ নামে আত্মপ্রকাশ করে আরও একটি অনুরূপ সংগঠন।
এছাড়াও নেতিবাচক দিক থেকে নতুন সংযোগ হয়েছে গুজব প্রচারের নতুন মাধ্যম – ইউটিউব। বাংলায় কন্টেন্ট মনিটরিং এর ব্যাপারে ইউটিউবের রিপোর্টিং সিস্টেম দৃঢ় না হওয়ায়, টাকা আয় করার সরাসরি উপায় থাকায় এবং বাংলায় ভাল কন্টেন্টের অভাবে বাংলায় ইউটিউব এখন গুজব ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ স্বর্গ। অটোপ্লে ও সাজেশনের ফলে কেউ একবার এসব ভিডিওর ফাঁদে পা দিলে তার ইউটিউব একাউন্ট জুড়ে জায়গা দখল করে নিচ্ছে এসব গুজব ভিডিওগুলো। তবে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো ইউটিউবের মত জায়গায় আরো সক্রিয় হলে এসব নিম্নমানের ‘তথাকথিত’ সাংবাদিকদের প্রাদুর্ভাব লোভ পেতে পারে আমাদের বিশ্বাস।
গত বছর বাংলাদেশের অনলাইন গুজব প্রচারের অনন্য মাত্রা যোগ করে ‘বাংলা ইনসাইডার’ নামক একটি নিউজ পোর্টাল। পূর্বে ভুল, বানোয়াট কিংবা একচেটিয়া তথ্য প্রচারের চর্চা এদেশের গণমাধ্যমে দেখা গেলেও সম্পূর্ণ কাল্পনিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ বানোয়াট সংবাদ (Fake News) তৈরির চর্চার প্রবর্তন করে এই নিউজ পোর্টালটি।
এবার দেখে নেওয়া যাক বছরের সবচেয়ে আলোচিত গুজবগুলো (বিস্তারিত পড়তে শিরোনামে ক্লিক করুন)―
‘ওকে জানু’ সিনেমায় প্রীতম ও আসিফের গান নকল করেছেন এ আর রহমান
কেশব গোস্বামী নামক একজন ভারতীয় গায়ক, বাংলাদেশী সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম ও গায়ক আসিফের ‘তুমি নেই বলে’ গানটির হিন্দি কাভার করেন ‘তু যো নেহি‘ শিরোনামে। ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ওকে জানু’ সিনেমা প্রকাশের ক’দিন আগে, ‘তু যো নেহি’ গানের সাথে বলিউড চলচ্চিত্র Ok Jaanu (ওকে জানু)―এর ট্রেইলারের কিছু ফুটেজ বসিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে Music World নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং সেটিকে প্রচার করা হয় সিনেমাটির গান হিসেবে। এছাড়াও ভিডিওটির বিবরণে সুরকার হিসেবে ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান-এর নামও উল্লেখ করা হয়। প্রীতম ও আসিফ গানটিকে ‘ওকে জানু’র গান মনে করে তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে এ আর রহমানের উপর গান নকল করার অভিযোগ আনে।
রাজধানীতে গরু-খাসির নামে ‘কুকুরের মাংসের’ বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে
মৃত কুকুর ও কিছু মাংস কাটার ছবি জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন প্রোফাইল ও পেইজ থেকে ঢাকা শহরে কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি করার গুজব প্রচার করা হয়। গুজবটি ভাইরাল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেটির উপর সংবাদ প্রকাশ করে বেনামী নিউজপোর্টালগুলো। ‘যাচাই’-এর অনুসন্ধানে এই ছবিগুলোর সম্পর্ক পাওয়া যায় ২০১৬ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদ শহরের একটি ঘটনার সাথে।ঐ ঘটনায় চন্দ্রমোহন নামক একটি ছেলে মজা করে এই ছবিগুলো ব্যবহার করে ‘গাউস হোটেল’ নামক একটি রেস্টুরেন্টে ‘কুকুরের’ মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি হওয়ার গুজব ছড়িয়ে দেয়।
বাজারে ‘নকল’ বা ‘প্লাস্টিক’ ডিম পাওয়া যাচ্ছে
২০১৫ সাল থেকেই নকল ডিমের গুজব বাংলাদেশে শোনা গেলেও ২০১৭ সালে কোলকাতায় ‘নকল’ ডিম সন্দেহে একজন বিক্রেতাকে গ্রেফতারের ঘটনার পর বাংলাদেশী মিডিয়াগুলো সংবাদটি ফলাওভাবে প্রচার করে। যার ফলে আবার শুরু হয় নকল ডিমের গুজব। বেনামী নিউজপোর্টালগুলোর পাশাপাশি এই গুজব প্রচারে অংশগ্রহণ করে দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও নিউজ চ্যানেল। পূর্বে পচা, নষ্ট বা পুরনো ডিম বলা হলেও মিডিয়ার এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রচারের ফলে মানুষ ক্রমান্বয় ঐ ধরণের ডিমকে ‘নকল’ বা ‘প্লাস্টিক’ ডিম বলে বলা শুরু করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, কোলকাতার ঘটনায় ল্যাব টেস্টে নকল ডিমের কোন আলামত বিজ্ঞানীরা খুঁজে পায় নি এবং বাংলাদেশী মিডিয়াগুলো সেটি ফলোআপ করার প্রয়োজনবোধ করে নি।
ভোলায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া ‘হিন্দু’ ছাত্রীদের ছবি
ভারতের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ছবি ব্যবহার করে প্রচার চালানো হয় বাংলাদেশের ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার আবদুল জব্বার মহাবিদ্যালয়ের ৭ জন ধর্ষিত ছাত্রীর ছবি হিসেবে। ভোলায় এমন ধর্ষণের কোন ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় নি। গুজবটি ছড়িয়ে পড়ার ক’দিন পর এই ‘ধর্ষিতাদের’ হিন্দু দাবী করে এটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
সুলতানা কামালের ‘ভাস্কর্য না থাকলে বাংলাদেশে মসজিদও থাকার দরকার নাই’ মন্তব্য
আদালত প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য অপসারণ বিতর্কে একটি টিভি প্রোগ্রামে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি সাখওয়াত হোসাইন বলেন, ভাস্কর্যটি থাকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক কাজ যেহেতু এই মূর্তিটা একটা সম্প্রদায়ের এবং আদালত প্রাঙ্গণের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোন সম্প্রদায়ের প্রতীক থাকতে পারে না। তার এমন মন্তব্যের উত্তরে ‘আইন ও শালিস কেন্দ্র’-এর নির্বাহী পরিচালক, সুলতানা কামাল অনুষ্ঠানটিতে বলেন, “তাহলে (সাখাওয়াত হোসেইনের যুক্তি অনুযায়ী) তো মসজিদও থাকার কথা না (যেহেতু সেটিও একটি সম্প্রদায়ের প্রতীক)।” এবং তিনি মুফতি সাখওয়াত হোসাইনের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, “নিশ্চয়ই (সম্প্রদায়ের প্রতীক) থাকতে পারে।” যেটির প্রতিউত্তরে মুফতি সাখওয়াত হোসাইন আবার বলেন, “যদি সেটা (সম্প্রদায়ের প্রতীক) থাকে তাহলে সেটা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হবে।”
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি সাখওয়াত হোসাইন কোন সম্প্রদায়ের প্রতীক থাকার বিরোধিতা করলেও, অনুষ্ঠানটি প্রচারে ক’দিন পর হেফাজতের এক সমাবেশে সুলতানা কামালের ‘ভাস্কর্য না থাকলে বাংলাদেশে মসজিদও থাকার দরকার নাই’ -এমন মন্তব্য করেছেন বলে প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটির লাইভ রেকর্ডিং থাকা সত্ত্বেও অনেকেই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বক্তব্যকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে। এই দাবীর জের ধরে ফেইসবুক ও ইউটিউবে তৈরি করা হয় অগণিত বিদ্বেষমূলক পোস্ট যার কোন কোনটিতে সুলতানা কামালকে ‘দেশ থেকে বের করে দেওয়ার’, ‘গ্রেফতার করার’ দাবী জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকিও প্রদান করা হয়।
ইমরান খানের ‘বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সৌন্দর্য্য নষ্ট করেছে’ মন্তব্য
জুন ১০, ২০১৭ তারিখে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের পর, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি’র সেমিফাইনাল পর্যায় উঠে। সেদিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন একাউন্ট, পেইজ ও বিভিন্ন তথাকথিত নিউজ পোর্টাল থেকে প্রচার করা হয় ইমরান খানের ‘তথাকথিত’ এই উক্তিটি। পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানের করা এই উক্তির অস্তিত্ব বাংলাদেশের এসব ফেইসবুক একাউন্টের পোস্ট ও নিউজ পোর্টাল ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় নি।
লাইলাতুল কদরের রাতে উল্কাপাত হয় না
একটি ইউটিউব ভিডিওতেও মুফতি মোহাম্মদ কাজি ইব্রাহিম মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার তথাকথিত গবেষণার বরাত দিয়ে বলেন “শবে কদরের রাতে উল্কাপাত হয় না”। পরবর্তীতে দৈনিক যুগান্তরসহ একাধিক নিউজ পোর্টালে তার এই দাবীকে উল্লেখ করে প্রবন্ধ প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার একটি পর্বে অতিথি মডেল খালেদ হোসাইন সুজন একজন প্রতিযোগীকে “নাসার গবেষণায় দেখা গিয়েছে বছরের একটি দিন উল্কাপিণ্ড হয় না এবং সেটি হচ্ছে শবে কদরের রাত”-এমন একটি তথ্য প্রদান করলে মুফতি মোহাম্মদ কাজি ইব্রাহিমের এই ভিত্তিহীন দাবীটি বিশেষভাবে আলোচনায় আসে।
‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু
অক্টোবরে নিজ বাসায় অপূর্বা বর্মণ স্বর্ণা নামের ১৩ বছরের এক কিশোরীর আত্মহত্যা করে। দুইদিন পর টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তার পিতা, ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলার পরিণতিতেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। যেটি দেশের গণমাধ্যমগুলো কোনরূপ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলার পরিণতিতেই কিশোরীটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে এমন কোন আলামত খুঁজে পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশে বহুল প্রচারিত হলেও ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি মূলত কোন মোবাইল ভিত্তিক গেম না। এটি ট্রুথ-ডেয়ার ধরণের একটি চ্যালেঞ্জ ভিত্তিক গেম। যেটির নাম সর্বপ্রথম উঠে আসে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে, যেখানে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ‘আত্মহত্যাকে’ উৎসাহ প্রদান করা হতো এবং আত্মহত্যা করার চিন্তা করছে এমন ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে নিজের জীবন বিপন্নকরার জন্য প্রণোদিত করা হতো।
মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের দিকে এই গেমটির গুজব আসার পর সেটিকে ‘মোবাইল’ গেম হিসেবে মানুষ ধারণা নিতে থাকে যেহেতু বর্তমানে এই অঞ্চলে ‘গেম’ মানে মূলত মোবাইল ভিত্তিক গেম মনে করা হয়। মানুষের এই কৌতূহলের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী এই গেমের সাথে শক্তিশালী হ্যাকারের হাত থাকার গল্প, ডিপ ওয়েব, হিপটোনাইজ ইত্যাদি রহস্যময় শব্দ সংযুক্ত করে। অপপ্রচারে অংশগ্রহণ করে দেশের প্রথম সারীর পত্রিকাগুলোও।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও
২০১৬ সালের পর, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমার সরকার নির্যাতনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করতে বাধ্য করায়। এসময় ফেসবুকে গত বছরের মতই আবারও অগণিত অসম্পর্কিত বীভৎস ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। এবার ছবি থেকে ভিডিওর পরিমাণ ছিলো সবচেয়ে বেশী। ফেইসবুকের নড়বরে রিপোর্টিং সিস্টেমের কারণে এসব ভিডিও নামিয়ে আনাও ছিলো দুরূহ কাজ। ফলে ছেলে-বুড়ো সবাই না চাইলেও এসব বীভৎস ছবি ও ভিডিওর দর্শক হতে হয়। তবে এবার মিয়ানমার সরকারের নিজস্ব অনলাইন প্রোপাগান্ডার প্রমাণও বের হয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তি সংক্রান্ত
‘বাংলা ইনসাইডার’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেলের জন্য মনোনীত হওয়ার বানোয়াট খবর প্রকাশ করা ছাড়াও আরো একাধিক কাল্পনিক সংবাদ প্রচার করে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক খবরগুলো বাংলা ইনসাইডারের সূত্র দেখিয়ে তা প্রচার করে এবং এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একাধিক ব্যক্তিও এসব সত্য ভেবে তাদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শেয়ার দেয়। সম্প্রতি জাতীয় সংসদেও এমন একটি সংবাদ সত্য বিশ্বাস করে আলোচনায় আনা হয়। সম্পূর্ণ বানোয়াট এসব সংবাদগুলো ‘যাচাই’ ছাড়াও অন্য একাধিক মাধ্যমে তুলে ধরা হলেও ‘বাংলা ইনসাইডার’ এসব সংবাদগুলো তাদের পোর্টাল থেকে সরিয়ে নেয় নি।
বিগত বছরের মতই, ২০১৮ সালেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সঠিক ও দায়িত্বশীল তথ্য প্রচারের জন্য ‘যাচাই’ আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়া আশা ব্যক্ত করে। তথ্যপ্রযুক্তির আরও যথাযথ সমন্বয় ঘটিয়ে বানোয়াট ও অপতথ্য রোধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা। আমাদের এই যাত্রায় আপনাদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা বিশেষভাবে জরুরি। তাই আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন আমাদের ফেইসবুক পেইজ ও ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে।
অনলাইনে চলমান বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আপনার গঠনমূলক পর্যবেক্ষন কিংবা অভিমত আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো। আমাদের পাঠাতে হবে [email protected]এই ঠিকানায়। অথবা যাচাই-এর ফেসবুক পেইজ-এ সরাসরি পাঠিয়ে দিতে পারেন।