অনুসন্ধান

প্রথম প্রকাশ:

বাংলাদেশের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক ব্লক থাকলেও এই সামাজিক মাধ্যমে চলছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রোপ্যাগান্ডা প্রচারের হিড়িক। ভিপিএন ও দুর্বল গতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যে অল্প সংখ্যক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে, তাদেরকে টার্গেট করে অসংখ্য নামী-বেনামী পেইজ থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে অজস্র রাজনৈতিক পোস্ট।

ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি Meta এর Ad Library Report হতে প্রাপ্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞাপনদাতাদের তথ্য বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত পর্যালোচনাগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।


নোট: প্রতিবেদনটি ৩০ জুলাই প্রকাশের সময়ে মেটা থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত ২৬ জুলাই এর ডেটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তবে গত কয়েকদিনে প্রাপ্ত ২৭–৩০ জুলাই এর ডেটা উল্লেখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে আরও পূর্ণাঙ্গ ও স্পষ্ট ধারণা দেয় বিধায় প্রতিবেদনটি ৩০ জুলাই এর ডেটার ওপর ভিত্তি করে আপডেট করা হয়েছে।


জুলাই ২৪ এর পর থেকে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে ব্যয়


চার্ট: বাংলাদেশের অডিয়েন্সের জন্য ফেসবুকে প্রচারিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ব্যয়

জুলাই ১৩–১৯: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পূর্বের চিত্র

জুলাই ১২ তারিখ থেকে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা শুরু হয় এবং ১৮ তারিখ রাত থেকে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্ল্যাকওয়াউট শুরু হয়।

এর মধ্যে জুলাই ১৩–১৯ তারিখ এই সাত দিন মোট ১,৮৬০টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ৩৩৮টি ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচার করা হয়। এর মধ্যে ১০০ ডলারের ওপর খরচ করে ১৬টি পেইজ, যার মোট পরিমাণ ৩,১২১ ডলার (প্রায় ৩.৬ লাখ টাকা সমমান)।

জুলাই ২৪–৩০: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরবর্তী চিত্র

ইন্টারনেট ব্ল্যাকওয়াউটের সময়ে জুলাই ১৯–২৩ তারিখের মধ্যে বিজ্ঞাপনে মোট ব্যয় দেখা যায় মাত্র ৪৮০ ডলারের এর মতো।

তবে ২৩ তারিখ রাতে ইন্টারনেট সেবা ফিরে আসার পর, জুলাই ২৪ থেকে শুরু হয় বিজ্ঞাপনের পিছনে অর্থের জোয়ার। ২৪–৩০ জুলাই এই সাত দিনে ফেসবুক বন্ধ থাকা স্বত্বেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে মোট ব্যয় করা হয়েছে অন্তত ৩৩,৯৯২ ডলার (প্রায় ৪০ লাখ টাকার সমমান)।

এসময়ের মধ্যে ২৭৫টি একটিভ বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে প্রায় ১৫০টিকে তাদের বিজ্ঞাপন ও পেইজের কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে সরকারপন্থী ও বিরোধীপন্থী লেবেলে আমরা শনাক্ত করি।

এই পেইজগুলোর এই সাত দিনের বিজ্ঞাপনের চিত্র নিম্নরূপ:

গ্রুপব্যয়ের পরিমাণ ($)ব্যয়ের পরিমাণ (৳)বিজ্ঞাপনের সংখ্যা
সরকারপন্থী (১১৬)৩৩,৭৩২ ডলার+৩৯ লাখ+ টাকা১,৯২৮টি
বিরোধীপন্থী (২৮)২১৯ ডলার+২৫.৭ হাজার+ টাকা৫৮টি
তথ্যসূত্র: Meta Ad Library Report (জুলাই ২৪ – জুলাই ৩০, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত)

এর মধ্যে শুধুমাত্র ৩০ জুলাইতেই সরকারপন্থী বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকার।

দেখুন: বিজ্ঞাপনের ব্যয়ের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০০ ফেসবুক পেইজের তালিকা

বিজ্ঞাপনগুলোর বিষয়বস্তু

প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলোতে ৮০% এরও অধিক বিজ্ঞাপনদাতা সরকারপন্থী কন্টেন্ট শেয়ার করেছে। বিশেষত সরকারি প্রতিনিধিগণ মূলধারার গণমাধ্যমকে যা বলছে সেসবই এসব পোস্টে উঠে আসছে। তাদের প্রচারিত বিজ্ঞাপনের নমুনা বিষয়বস্তুগুলো হচ্ছে:

  • সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞে বিরোধী দল কীভাবে মদদ দিয়েছে এবং অংশগ্রহণ করেছে
  • বিভিন্ন সরকারি ভবন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংসাবশেষের চিত্র
  • আন্দোলনকারী ও তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সহিংসতার বর্ণনা
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ ও নৃশংসতার ঘটনাগুলো
  • আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

অপরদিকে সরকার বিরোধী বিজ্ঞাপনদাতারা সংখ্যায় প্রায় ২০% এর মতো হলেও তাদের বিজ্ঞাপন ব্যয় ছিল নাজুক। একমাত্র বিএনপির অফিশিয়াল পেইজ ছাড়া বাকি সব পেইজের বিজ্ঞাপন ব্যয় ছিল ১০০ ডলারের কম। বিএনপির অফিশিয়াল পেইজ থেকে এ মাসে ১২০ ডলারের একটি পেইজ ফলো করার বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্য আর কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি।

সরকার বিরোধী পেইজগুলোর বিজ্ঞাপনে আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানানো হয় এবং সরকারপন্থী গোষ্ঠী দ্বারা হতাহতদের জন্য বিচার চাওয়া হয়। এদের অনেকেরই কোনো নির্দিষ্ট দলের সাথে সম্পৃক্তা শনাক্ত করা যায়নি।

ধর্মীয় পেইজের আড়ালে রাজনৈতিক এজেন্ডা প্রচার

ইসলামের আলো’ নামক একটি পেইজ আমাদের অনুসন্ধানে বের হয়। পেইজটি সাধারণভাবে ইসলামিক বিভিন্ন কন্টেন্ট (যেমন: ওয়াজ, কোরআন ও হাদিস থেকে বাণী সম্বলিত) পোস্ট ও বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।

জুলাই ২৭ থেকে জুলাই ৩০ তারিখের মধ্যে তারা $৫৫১ ডলার ব্যয় করে ২১টি বিজ্ঞাপন দেয়। ডক্টর আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, শায়েখ আবু বকর যাকারিয়া, শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর মতো বিশিষ্ট ইসলামী বক্তাদের ওয়াজের অংশ বিশেষ এসব বিজ্ঞাপনে প্রচার করে। বিজ্ঞাপনের প্রদত্ত বিবরণ নিম্নরূপ:

  • উগ্রবাদী কোন আন্দোলন ইসলাম সমর্থন করে না
  • কোটা সংস্কার আন্দোলন ইসলাম কি বলে, জ্বালাও-পোড়াও দায়ভার কে নিবে
  • আপনি কি জানেন লাল রং শয়তানের রং হিসেবে বিবেচিত এবং লাল রং ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ। ফিতনায় পা দিবেন না
  • মিছিল করা ইসলামে জায়েজ নয় 
  • রাস্তা অবরোধ করা জায়েজ কিনা এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা
  • হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে? 
  • ইসলাম আর জামাতে ইসলাম কখনোই এক নয়

এসব ভিডিও ও এসব পোস্ট করার সময় থেকে ধারনা নেওয়া যায় যে তাদের কন্টেন্ট সরকারপন্থী এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত।

প্রতিপক্ষের নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ’ নামক একটি পেইজ থেকে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে সরকার বিরোধী দুইজনের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। এর থেকে ধারণা করা যায় পেইজটি প্রকৃতভাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এর দ্বারা পরিচালিত না।

স্ক্রিনশট: ‘রুহুল কবির রিজভী আহমেদ’ নামক একটি পেইজ থেকে এমাসে প্রচারিত বিজ্ঞাপন

গত বছর এই পেইজ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের একটি ডিপ ফেইক ভিডিও বিজ্ঞাপনে প্রচার করা হয়, যেখানে নাশকতামূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে দলের নেতা কর্মীদের আহ্বান জানানো হয়। ফ্যাক্ট ওয়াচ ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে সেটিকে ভুয়া বলে রায় দেয়

স্ক্রিনশট: ডিপ ফেইক ভিডিও বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচার করা হয়

জেলাভিত্তিক প্রোপ্যাগান্ডা চক্র

অনুসন্ধানে অন্তত ৩৮টি পেইজ পাওয়া গিয়েছে যারা নিয়মিত জেলাভিত্তিক অরাজনৈতিক কন্টেন্ট প্রকাশ করে অডিয়েন্স তৈরি করেছে। তবে এসব পেইজ থেকে বিগত ২ সপ্তাহ প্রায় একযোগে একই ধরনের সরকারপন্থী রাজনৈতিক পোস্ট এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।

এসব পেইজের মধ্যে রয়েছে:

  • সোনালী সাতক্ষীরা : Sonali Satkhira
  • বগুড়া বার্তা – Bogura Barta
  • প্রাণের নওগাঁ – Praner Naogaon
  • ইছামতির কথন – Ichamatir Kothon
  • মহানন্দা জনপদ – Mohanonda Jonopod
  • ময়মনসিংহের আলো- Mymensingher Alo
  • শেরপুরের দর্পণ – Sherpurer Dorpon

পেইজগুলো কোথা থেকে চালানো হচ্ছে?

সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে এমন পেইজগুলোর এডমিনদের লোকেশন অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে সবগুলোরই অধিকাংশ এডমিন বাংলাদেশ ভিত্তিক। ধারনা করা যায় এসময়ে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও তারা ভিপিএন এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারছেন।

তবে কোনো কোনো পেইজের একজন করে হলেও এডমিন বাইরের দেশ যেমন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। আশ্চর্যজনকভাবে বিরোধীপন্থী পেইজগুলোর কোনোটির ক্ষেত্রেই দেখা না গেলেও, সরকারপন্থী অন্তত ১২টি পেইজ পাওয়া গিয়েছে যার একজন এডমিন পাকিস্তানে রয়েছে।

এসব পেইজ বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে এমন পেইজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই পেইজগুলো হচ্ছে:

পেইজের নামমোট ব্যয়বিজ্ঞাপনের সংখ্যা
আহবান – Ahoban$ 12,2171,865
আমার নেত্রী আমার অহংকার$ 9,0782,800
বঙ্গবন্ধু অনলাইন আর্কাইভ$ 7,0352,000
Aamrai Bangladesh – আমরাই বাংলাদেশ$ 5,892487
আমার দেশ আমার অহংকার$ 5,206498
আবিজা – Abija$ 4,0212,737
ক্রাইম স্টেশন-Crime Station$ 2,997409
Go Bangladesh$ 2,5061,850
দুশমন$ 2,359265
নাশকতা – Nashokota$ 2,0151,128
আগামীর বাংলাদেশ$ 25586
Dadu Bhai – দাদু ভাই$ 13676
মোট$53,71714,201
তথ্যসূত্র: Meta Ad Library Report (সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ – জুলাই ৩০, ২০২৪ পর্যন্ত)

এসবের মাত্র ৫টি পেইজ-ই শুধুমাত্র ২৪–৩০ জুলাই, ২০২৪ তারিখের মধ্যেই সর্বমোট সাড়ে ১৩,৭৭৫ ডলারের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে দিয়েছে—যা প্রায় ১৫.৮ লাখ টাকার সমমান।

ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশে শীর্ষ ২০

মেটার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে শীর্ষ ২০ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতা পেইজ হচ্ছে:

স্থানপেইজের নামব্যয়ের পরিমাণ(মার্কিন ডলারে)বিজ্ঞাপনের সংখ্যাপন্থা
Press Xpress$ 27,0393,872সরকার
ভালোর পথে-Bhalor Pothe$ 26,9752,065সরকার
Salman F Rahman$ 26,863707সরকার
Zunaid Ahmed Palak$ 25,607491সরকার
Rupganjer Kotha$ 25,21196সরকার
CAP – Campaign Advocacy Program$ 12,879637সরকার
Bangladesh Nationalist Party-BNP$ 12,36142বিরোধী
আহবান – Ahoban$ 12,2051,865সরকার
BD Peoples Voice$ 11,924427সরকার
১০BNP Media Cell$ 10,775106বিরোধী
১১M A Razzak Khan Raj CIP$ 10,707363সরকার
১২সফল বাংলাদেশ$ 9,3593,241সরকার
১৩আমার নেত্রী আমার অহংকার$ 9,0772,800সরকার
১৪Bangladesh Awami League$ 9,0612,723সরকার
১৫প্রজন্মের আওয়াজ$ 8,7231,668সরকার
১৬Salma Islam – MP$ 8,54350বিরোধী
১৭Mahmud Hassan Ripon$ 7,697271সরকার
১৮Positive Bangladesh$ 7,2991,606সরকার
১৯বঙ্গবন্ধু অনলাইন আর্কাইভ$ 7,0372,000সরকার
২০a2i – Aspire to Innovate$ 6,324112সরকার
তথ্যসূত্র: Meta Ad Library Report (জুলাই ৩০, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত)

* Nagad ($37,430), Panjeree Publications Ltd. ($18,569) সরাসরি রাজনৈতিক পেইজ না হওয়াতে মেটার তালিকায় থাকলেও এই তালিকায় এই পেইজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

নিচে সরকারপন্থী ও বিরোধীপন্থী দুই গ্রুপে বিভক্ত করে এই পেইজগুলোর ব্যয়ের পরিমাণ তুলে ধরা হলো:

গ্রুপমোট ব্যয়মোট ব্যয় (টাকায়)বিজ্ঞাপনের সংখ্যা
সরকারপন্থী (১৭)২৪৮,২৮৫ ডলার২.৯ কোটি টাকা২৪,৯৪৪
বিরোধীপন্থী (৩)৩২,৭০২ ডলার৩৮ লাখ টাকা১৯৮
তথ্যসূত্র: Meta Ad Library Report (সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ – জুলাই ৩০, ২০২৪ পর্যন্ত)

দেখুন: বিজ্ঞাপনের ব্যয়ের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০০ ফেসবুক পেইজের তালিকা

যেকোনো পেইজের বিজ্ঞাপনের তথ্য কীভাবে জানতে পারবেন?

স্বচ্ছতার জন্য মেটা তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে যারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেয় তাদের তথ্য Meta Ad Library Report এর মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে রাখে। আমাদের প্রতিবেদনের সকল উপাত্ত তাদের রিপোর্ট থেকে নেওয়া।

এখানে উল্লেখ্য, মেটা তার রিপোর্টে লাইভ ডাটা প্রদান করে না। সর্বশেষ তিন দিন পুরনো ডেটা রিপোর্ট থেকে সংগ্রহ করা যায়। তাই জুলাই ৩০, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রদত্ত ডাটার ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।


অনলাইনে চলমান বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আপনার গঠনমূলক পর্যবেক্ষন কিংবা অভিমত আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো। আমাদের পাঠাতে হবে [email protected]এই ঠিকানায়। অথবা যাচাই-এর ফেসবুক পেইজ-এ সরাসরি পাঠিয়ে দিতে পারেন।
সর্বশেষ হালনাগাদ:

পাদটীকা