দুই বছর পুরনো সংবাদ কপি-পেস্ট করে প্রচার করে আসছে বিভিন্ন নিউজপোর্টাল।
শিশুর শরীরে হঠাৎ করে গজাচ্ছে ‘পশুর’ লোম?

দুই বছর পুরনো সংবাদ কপি-পেস্ট করে প্রচার করে আসছে বিভিন্ন নিউজপোর্টাল।
আলোচিত ভিডিওতে ভ্যাকসিন ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যনীতির ব্যাপারে মৌলিক পর্যায় তার অজ্ঞতাই প্রমাণিত হয়েছে এবং তার অধিকাংশ বক্তব্য আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক।
এভাবে সরাসরি ইথানল সেবন করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করা যায় না। উপরন্তু এভাবে বাষ্পের মাধ্যমে ইথানল গ্রহণের ফলে মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
বিভিন্ন গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রচারিত এই বুলেটিন বানোয়াট।
ভিটামিন বি১৭ নামক কোন ভিটামিন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বীকৃত না। এর মাধ্যমে ক্যানসার চিকিৎসায় কোন কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায় না। উপরন্তু সায়ানাইড বিষের উপাদান থাকায়, এটি হতে পারে ক্ষতির কারণ।
আয়রন ট্যাবলেটে ফেরাস আয়রন, আয়রন পলিম্যালটোজ কমপ্লেক্স অথবা কার্বনিল আয়রন নামক ঔষধে ৯৭ থেকে ৯৯.৫ ভাগ বিশুদ্ধ লোহা থাকতে পারে। যা ক্ষতিকর না। এসব লোহা চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা।
এই ভিডিওগুলোতে দেখানো পদ্ধতিটিতে কেবল প্রাণ বা রাঁধুনি না, বরং যে কোন ভোজ্য সরিষার তেল উত্তপ্ত করা হলে সেটির ক্ষেত্রেও একই ফলাফল পরিলক্ষিত হবে।
ব্যথা, জ্বালা-পোড়া ও জ্বরের প্রতিষেধক হিসেবে বাজারে বহুল প্রচলিত সাধারণ নাপা ও এইস ঔষধ এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়।
বহুল প্রচারিত এই ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে লোকমুখে প্রচারিত এই ধারনাটি সম্পূর্ণ কুসংস্কার।
প্যারাসিটামলে ‘ম্যাচাপু’ ভাইরাস পাওয়া যাওয়ার এই ঘটনাগুলো অসত্য।
বহুল প্রচারিত ‘প্লাস্টিক’ ডিমের এই ঘটনাগুলো ভিত্তিহীন।