এই বানোয়াট সংবাদটির প্রচলন শুরু হয় ২০১৬ সালের মে মাসে এবং বঙ্গানুবাদ হয় বাংলাদেশে প্রচলন শুরু করে একই বছর এপ্রিল থেকে। গতবছর সংবাদটি কিছু তথাকথিত নিউজ পোর্টাল প্রচার করে ভাইরাল করে। এদের অধিকাংশই সংবাদটি মুছে ফেলে এবং অনেক ওয়েবসাইট বর্তমানে বন্ধই হয়ে গিয়েছে।
এই বছর জুনের ১৬ তারিখ ‘এটিএন ২৪ লাইভ নিউজ’ নামক একটি বেনামী পোর্টাল নিউজটি প্রচার করলে সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। নিউজ পোর্টালটি এই বছর ১০ জুনের পূর্বে গুজবটি প্রচার করতে পারে নি। তাই গত বছরে প্রচারিত একই বানোয়াট সংবাদ কেবল শুরুতে ‘১০ জুনের’ বদলে ‘১০ জুলাই’ লিখে এই সংবাদটি প্রচার করে। কিন্তু শুরুর দিনটি বদলালেও সমাপ্তির দিন রয়ে যায় ১৭ জুন। অর্থাৎ, হিসেবে সময়কাল ৮ দিনের স্থানে হয়ে যায় ৩৪২ দিন। এই একই সংবাদ প্রচারিত হয় অন্য আরও কিছু বেনামী পোর্টালে, ভুল সংশোধন ছাড়াই, হুবহু কপি-পেস্ট করে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে সংবাদটি বানোয়াট। নাসা কর্তৃপক্ষ এমন কোন সতর্কতা দেয় নি। সংবাদে নাসার মুখপাত্র Charles F. Bolden এর কথা উল্লেখ করলেও তিনি এই বছরের জানুয়ারিতেই অবসর গ্রহণ করেছেন। [1]
বানোয়াট সংবাদটি পূর্বে প্রচারিত ২০১৫ সালে ‘১৫ দিন’ এবং ২০১২ সালে ‘৭ দিন’ সূর্য না উঠার এমন কিছু গুজবের একটি সংস্করণ মাত্র।
‘বিজ্ঞানযাত্রা‘ নামক বিজ্ঞানবিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল সূর্য না উঠার গুজবটি খন্ডন করে একটি ভিডিওতে―
আমাদের কথা
সবচেয়ে শোচনীয় বিষয় হচ্ছে, এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গত বছরের ন্যায় এবারও অনেকেই নিউজ পোর্টালগুলোকে নয় বরং ‘নাসা’কে গালমন্দ করে এরূপ সতর্কতার জন্য। অথচ নাসা এমন কোন বিজ্ঞপ্তি কখনো প্রকাশ করে নি।
অপরদিকে, ‘এই বার্তা‘ নামক নিউজ পোর্টালটি ও তাদেরই অপর আরেকটি সাইট ‘এই দেহ‘ গত বছর একই গুজব প্রচার করেছিল। যা তারা পরবর্তীতে মুছে ফেলে। অথচ এই বছরও ‘এই বার্তা’ গুজবটি আবারও প্রচার করে। মূল ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেললেও, ‘এই বার্তা’ সহ অন্য প্রায় ১২টি তথাকথিত নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ২০১৬ সালের সংবাদের আর্কাইভ সংস্করণের লিংক পাওয়া যাবে এই পোস্টের নিচের অংশে।