এই দাবীটি শুরু হয় মূলত ২০০৬ সালে ইংরেজি একটি চেইন ইমেইলের মাধ্যমে। বাংলাদেশে গুজবটি বাংলায় ভাষান্তর হয়ে প্রচারণা শুরু হয় ২০০৯ সালের দিকে। এই ধরণের কোন কৌশল ব্যবহারের প্রমাণ বাংলাদেশ বা অন্য কোন দেশের ব্যাংকগুলোতে পাওয়া যায় না।
১৯৯৮ সালে শিকাগোর ব্যবসায়ী জোসেফ জিঙ্গার (Joseph Zingher) এটিএম নিরাপত্তা জন্য এই সিস্টেমটি SafetyPIN System নামে পেটেন্ট করান।[1] তার প্রস্তাবিত এই সিস্টেম অনুসারে ব্যবহারকারী বিপদের সম্মুখীন হলে তার নির্দিষ্ট পিন নাম্বার এটিএম মেশিনে উল্টো করে চাপলে গোপন একটি অ্যালার্ম পুলিশের নিকট চলে যাবে এবং পুলিশ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে পারবে। তিনি এটিকে ‘Panic Code’ হিসেবে নামকরণ করেন। তবে পরবর্তীতে অ্যামেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশন সিদ্ধান্ত দেয় যে এই পদ্ধতিটি খুব একটা কার্যকর কিছু হবে না এবং তাদের জানামতে কোন এটিএম মেশিনে এই প্রযুক্তি সংযোজিত হয় নি। তারা এর ব্যাখ্যায় বলে―[2]
“সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো গুণগত গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এই প্রযুক্তি- (১) কোন প্রকার এটিএম সংক্রান্ত অপরাধ ঠেকাতে পারবে না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এটিএম ব্যবহারকারীদের বিপদও বাড়িয়ে দিতে পারে; (২) এই প্রযুক্তির পিছনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষগুলোকে প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করতে বাধ্য করতে পারে; (৩) কখনও কখনও ভুলভাবে পুলিশের কাছে সতর্কবার্তা চলে যেতে পারে যার দরুন পুলিশ রিসোর্সের অদক্ষ বণ্টন হতে পারে।”
এই প্রযুক্তির ব্যাপারে যখন গবেষণা চলছিল, তখন আরও কিছু বিষয় এর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল। যেমন, এটিএম পিন জেনারেট হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তার মানে কারও পিন নাম্বার ৮৮৮৮ বা ১২২১ হওয়া অসম্ভব কিছু না। যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে উল্টো করে লিখলেও কোন লাভ হবে না। নয়তো প্রতিবারই পুলিশের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে। আবার যদি সত্যিই এমন কোন পরিস্থিতি উদ্ভব হয় যেখানে কোন ব্যক্তির এটিএম থেকে টাকা কেউ জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চাচ্ছে, এরকম পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে ওই ব্যক্তির সঠিক পিন নাম্বারই মনে নাও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে উল্টো করে পিন নাম্বার প্রবেশ করানোর উপায়টা আসলে খুব একটা কাজের কিছু হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন সময় এই ধরণের কৌশল এটিএমগুলোতে সংযোজন করার জন্য বিল উত্থাপন হলেও সেগুলোর কোনটিই শেষ পর্যন্ত পাশ হয় নি।[3][4]
তাই এ ধরণের পোস্ট দেখে খুব একটা উৎফুল্ল অথবা বিচলিত – কোনটাই হবার কিছু নেই।