সেপ্টেম্বর ৬ তারিখের দিকে এমন দাবী সম্বলিত বার্তাটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। ইউটিউবেও খবর আকারে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এই মর্মে। সেখানে বলা হয়, সৌদি বাদশাহ সালমান আজিজ রোহিঙ্গাদের সাহাযার্থ্যে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এমন একটি আলোচিত বিষয়ে এত বড় অনুদানের কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসার কথা থাকলেও, এই দাবীর সত্যতা কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি। এমনকি সৌদি মিডিয়াগুলোও এমন কিছু প্রকাশ করে নি।
অনুদানের প্রমাণস্বরূপ ‘Assembly of Rohingya Associations, Bangladesh’ নামক একটি সংস্থার আরবিতে লেখা একটি নথীর কপি সংযুক্ত করা হয়। যদিও আরবি নথীটিতে মূলত রোহিঙ্গাদের উপর সাম্প্রতিক নির্যাতনের ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ দেওয়া আছে মাত্র। কিন্তু কোনরূপ অনুদানের কথা উল্লেখ নেই।
এছাড়াও ঐ বার্তার সাথে কোথাও কোথাও ‘আরাকান টিভির’ উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “৫ লক্ষ রোহিঙ্গাকে সৌদি আশ্রয় ও কর্মের সুযোগ দিয়েছে” কিন্তু আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সৌদিতে বর্তমানে ২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।[1] সৌদি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে সংখ্যাটি ৩ লাখ দাবী করে [2]। তাই সৌদি আরবে ৫ লাখ রোহিঙ্গা থাকার দাবীটিও ভিত্তিহীন।