গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১২ সালের অক্টোবরে গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভার্সিটি (Glasgow Caledonian University) -এর চ্যান্সেলর হিসেবে অভিষিক্ত হোন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির পূর্বের চ্যান্সেলর লর্ড ম্যাকডোনাল্ড অফ ট্রেডেস্টন এর পদানুবর্তী হোন।
২০১২ সালের জুলাই ১ তারিখে তিনি এই পদটি নিতে সম্মতি প্রকাশ করেন[1] এবং জুলাই ১৬ তে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিল পাশের মাধ্যমে তার পদগ্রহণ কার্যকর করা হয়।[2] তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব শুরু হয় সেই বছরের অক্টোবরে।[6]
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটিগুলোতে চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্যে ড. ইউনূস প্রথম নন-ব্রিটিশ নন। প্রায় একই সময় অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড ফারলেই (Richard Farleigh) লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর পদে আসীন হোন।[3] এছাড়াও ২০০৯ সালে প্রাক্তন ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার ও কমনওয়েলথের জেনারেল সেক্রেটারি, কামালেশ শরমা (Kamalesh Sharma) ২০০৯ সালে কুইন্স ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর পদে নিযুক্ত হোন।[4]
এই বছর, ২০১৮ সালের জুলাইতে ড. এনি লেন্নক্স অবিই (Dr Annie Lennox OBE) গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভার্সিটি চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করবেন। [5] এর পরবর্তীতে ড. ইউনুসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সম্মাননা হিসেবে ড. ইউনূসকে চ্যান্সেলর এমেরিটাস (Chancellor Emeritus) পদে আসীন করা হবে।[6]
ব্রিটিশ চ্যান্সেলর পদের দায়িত্ব
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চ্যান্সেলর পদটি মূলত একটি সম্মানী পদ, যিনি আনুষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তবে ভাইস-চ্যান্সেলরই মূলত প্রতিষ্ঠানের মূল প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ প্রদান করা হয়। তবে সার্বিক কোন আইন না থাকলেও, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত রাষ্ট্রপতিই এই পদে অভিষিক্ত হোন।[4]