অনুসন্ধান

প্রথম প্রকাশ:

মো ইসমাইল নামক জনৈক ফেসবুক ইউজার এমন দাবী করে একটি পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায় নিমিষেই। পোস্টটিতে ‘ইউরো নিউজ’ নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের একটি ভিডিও রিপোর্টও সংযুক্ত করা হয়। এই গুজবটি ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতে গত কিছুদিন যাবত প্রচারিত হচ্ছে। ধারণা করা যায়, মো ইসমাইল কেবল সেই গুজবটি নিজের প্রোফাইল থেকে পুনরায় আপলোড দিয়েছে মাত্র।

‘ইউরো নিউজের’ রিপোর্টটি মূলত ২০১৬ সালের।[1] সেই বছর স্নিকারস (Snickers) চকলেটের উৎপাদক কোম্পানি, মার্স (Mars) প্রায় ৫৬ দেশ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত কিছু চকলেট উঠিয়ে নেয়।[2][3]

রিপোর্টতে দেখা যায় গাজায় কিছু স্নিকারস চকলেটের বাক্স পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

কারণ হিসেবে জানা যায়, সেই বছর জানুয়ারিতে জার্মানির জনৈক ক্রেতা তাদের একটি চকলেট বারে লাল রঙের ‘প্লাস্টিক’ পেয়েছিলো। নির্দিষ্ট ঐ চকলেট বারটি তাদের নেদারল্যান্ডের একটি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত হয়েছে তা সনাক্ত করা যায়। চকলেট খাওয়ার সময় এমন প্লাস্টিক গলায় আটকে গেলে ক্ষতি হতে পারে বিধায়, কোম্পানিটি ঐ নির্দিষ্ট সময়ে নেদারল্যান্ড থেকে উৎপাদিত সকল চকলেট ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলে আক্রান্ত ৫৬টি দেশের বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।

ইউরো নিউজের রিপোর্টে দেখানো ভিডিওটি মূলত ঐ সময় ফিলিস্তিনের গাজায় স্নিকারস চকলেট প্রত্যাহারের উদ্দেশে পোড়ানোর সময় ধারণ করা হয়।

তবে ক্যান্সার রোগের বাহক বা উৎস হিসেবে এই চকলেটটির উৎপাদন বন্ধ হওয়ার দাবীটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোন সংবাদ নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

  1. "Gaza destroys thousands of Snickers bars after mass recall". Euronews. (মার্চ ১০, ২০১৬).
  2. "Mars and Snickers bars recalled in 56 countries". Al Jazeera. (ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬).
  3. Maria S., Martinne G.. "Plastic in Snickers bar prompts Mars recall in 55 countries". Reuters. (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬).

মন্তব্য