অনুসন্ধান

প্রথম প্রকাশ:

প্রথমবারের মত ২০১৮ সালের জাতিসংঘের রিভিউতে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের মর্যাদা হতে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের মর্যাদা লাভের নির্ণায়কগুলো বাংলাদেশ পূরণ করতে সক্ষম হয়। ২০ মার্চের এক প্রেস ব্রিফিং এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘোষণা দেন, ২২ মার্চ এই উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী সরকারীভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

প্রেস ব্রিফিং এ বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাস্থলসহ সারা দেশে আয়োজিত এই সকল অনুষ্ঠানে কেউ ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

কিন্তু দৈনিক যুগান্তর তাদের একটি সংবাদের শিরোনাম করে ‘আগামী বৃহস্পতিবার শহরে ব্যাগ বহন করা যাবে না’ এবং সেটির ভিতরে উল্লেখ করে―

“আগামী ২২ মার্চ রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে পিঠে ঝুলানো ব্যাগসহ সব ধরণের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে। নাশকতা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার”

যুগান্তরের প্রকাশিত সংবাদ যা পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়।

অথচ, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র অনুষ্ঠানস্থলগুলোর জন্য প্রযোজ্য। এমন শিরোনাম ও বিবরণে সংবাদ প্রকাশের পর তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং আরও কিছু নিউজ পোর্টাল সংবাদটি কপি-পেস্ট করে প্রচার করে।

সংবাদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে দৈনিক যুগান্তর সংশোধন করে, ‘বৃহস্পতিবার সাফল্য উদযাপনের অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ বহন করা যাবে না’ শিরোনামে সংবাদটি পুনরায় প্রকাশ করে।

যুগান্তরের হালনাগাদকৃত সংবাদ (মার্চ ২১, ২০১৮)

উল্লেখ্য, এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ প্রকাশের পরও, যুগান্তর তাদের হালনাগাদকৃত সংবাদে কোনরূপ দুঃখ প্রকাশ করেনি। পত্রিকাটি বিকারহীনভাবে শুধুমাত্র ভুল তথ্য সম্বলিত ফেসবুক পোস্ট ও সংবাদের তথ্যগুলো এডিট করে নেয়।

সর্বশেষ হালনাগাদ: