অনুসন্ধান

প্রথম প্রকাশ:

‘একটি আবেদন’ শিরোনামের এই বানোয়াট তথ্য সম্বলিত ছবিটি খুবই পুরনো। এটি ফেইসবুকে ছেয়ে যায় ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের দিকে। এর উৎস জানা যায় নি। তবে ইদানীং এটি ‘নাজাতের পথ’ হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে ‘সাইবার ৭১‘, ‘রেডিও মুন্না‘ পেইজসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ‘স্ট্যাটাস’ আকারে।

কল চার্জ ফ্রি হেল্প লাইন – ১০৯৮-এর মাধ্যমে শিশু নির্যাতন বা অন্য কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে, কাউন্সেলিং প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। এই সেবাটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্প। বর্তমানে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক একটি এনজিও-এর মাধ্যমে এই সেবাটি প্রদান করা হচ্ছে।

দৈনিক প্রথম আলো‘র ২০১৫ সালের আগস্ট ২৭-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়

কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে এ ধরনের একটি পোস্ট দেখা যাচ্ছে। আর অভুক্ত শিশুদের জন্য সবাই যে যার মতো পোস্টটি শেয়ার দিচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছে বেসরকারি সংগঠন অপরাজেয় বাংলাদেশ। কেননা চাইল্ড হেল্প লাইনের ১০৯৮ নম্বরটি তাদের। তবে এই নম্বরের বরাত দিয়ে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, তা ওই সংগঠনের বক্তব্য নয়। হেল্প লাইনে এ ধরনের কোনো সেবাও তারা দেয় না।

সংগঠনটি বলছে, শিশু নির্যাতন বা অন্য কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে শিশু, তার অভিভাবক বা অন্য যে কেউ টোলফ্রি নম্বরটিতে ফোন করে সহায়তা চাইলে কাউন্সেলিংসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। অথচ ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে, এ নম্বরে ফোন দিলে সেখান থেকে লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে অতিরিক্ত বা বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো নিয়ে আসবেন।

এ ব্যাপারে জানতে অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের পোস্ট আমরা দিইনি। দেওয়ার প্রশ্নও আসে না। কেননা কারও বেঁচে যাওয়া বা ফেলে দেওয়া বাসি, পান্তা খাবার আমরা শিশুদের খাওয়ার জন্য কখনোই কুড়িয়ে আনতে যাব না।

সর্বশেষ হালনাগাদ:

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো. "একটি আবেদন...". (আগস্ট ২৭, ২০১৫)

মন্তব্য

প্রচারিত মাধ্যম

কোন মিডিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি? রিপোর্ট করুন