অনুসন্ধান

প্রথম প্রকাশ:

মার্চ ১৫, ২০১৭ তারিখের এক মন্ত্রীসভায় ‘সেনানিবাস আইনের সংশোধনী’ অনুমোদন করা হয়। এতে সেনানিবাস এলাকায় প্রকাশ্যে ‘মলমূত্র ত্যাগ’, ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ ও ‘মাতলামি’ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই ধারায় এই আইনটি যোগ হলেও অধিকাংশ পত্রপত্রিকা কেবল ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ অংশটিকে তুলে ধরে তাদের শিরোনামে।

১৯২৪ সালের আইন দ্বারা সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। এই সভায় এই আইনের ৪৩টি ধারা সংশোধন করে সাজার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই প্রস্তাবিত সংশোধনীর আরও কয়েকটি দিক হচ্ছে―

১। ট্রাফিক আইন ভাঙলে আগে ৫০ টাকা জরিমানা হতো। সংশোধনীতে তা বাড়িয়ে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে।

২। স্থাপনা নির্মাণকাজে বিলম্ব করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

৩। কেউ যদি খোলা মাংস বহন করে, তবে শাস্তি হিসেবে তাঁর ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

৪। কেউ আতশবাজি করলে ৫০ টাকা জরিমানা করা হতো। বর্তমানে তা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সব ধারায় শুধু অর্থদণ্ডের কথা বলা হলেও কেউ যদি অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সে ক্ষেত্রে অন্য যেকোনো শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারে।

আমাদের কথা

সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে কেবল নিরপেক্ষভাবে ঘটনা তুলে ধরা কিন্তু জনমতকে আকার দেওয়া না। এই ধরণের শিরোনামগুলো মূলত ব্যবহার করা হয় খবরকে ‘আকর্ষণীয়ভাবে’ মানুষের কাছে তুলে ধরার পন্থা হিসেবে। এই ধরণের প্রচেষ্টা হলুদ সাংবাদিকতা চর্চার শামিল।

হতে পারে এই ধরণের দণ্ড ‘অস্বাভাবিক’ কিংবা হতে পারে ‘ভিক্ষাবৃত্তির’ অংশটুকু আলাদা অনুচ্ছেদে আলাদা দণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কিন্তু সাংবাদিকতার কাজ এই ধরণের ঘটনা বিচার করা না কিংবা জনগণের কাছে তাই তুলে ধরা না, যা জনপ্রিয় বা সাংবাদিকরা যা দেখাতে চায়। সুষ্ঠু জনমত প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা একান্ত জরুরি।

সর্বশেষ হালনাগাদ: