বিষুব বা ইকুইনক্স (Equinox) একটি স্বাভাবিক বাৎসরিক প্রাকৃতিক ঘটনা। এসময় পৃথিবীর তল সূর্যের কেন্দ্র বরাবর অতিক্রম করে। বলা যায় এ সময় সূর্য পৃথিবীর বিষুব রেখা বরাবর অবস্থান করে। এই ঘটনা ঘটে বছরে দুইবার, ২০ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর। [1] মে মাসে এটি হয় না এবং সপ্তাহব্যাপী এটি ঘটার দাবীও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিষুবের সময়, সারা পৃথিবী জুড়ে দিনরাত্রি প্রায় সমান হয়। তবে সূর্যের কৌণিক আকার ও বায়ুমণ্ডলের প্রতিসরণের কারণে তা একেবারে সমান সমান হয় না।
এসময় ‘ভয়াবহ’ তাপদাহ হওয়ার দাবীটিও ভিত্তিহীন। ইকুইনক্স এর সময় সূর্য যেহেতু বিষুব রেখা বরাবর থাকে তাই বিষুব অঞ্চল ও এর আশেপাশের স্থানগুলোতে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে যদি আকাশে মেঘ না থাকে। তবে বিষুব অঞ্চলের বাইরের স্থানগুলো যেমন বাংলাদেশ, যেটি কর্কট ক্রান্তি রেখায় অবস্থিত, এসব স্থানে ইকুইনক্স এর উল্লেখযোগ্য কোন প্রভাব নেই। অন্যদিকে কর্কট ক্রান্তি রেখায় সূর্য সবচেয়ে কাছে থাকে উত্তর অয়নান্ত (June solstice) এর সময়, যেটি ঘটে জুন মাসের ২০-২১ তারিখে হয়। [2]
মে মাসে ইকুইনক্স তখনই হওয়া সম্ভব যখন পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসবে। আকস্মিক এমন পরিবর্তন হলে পৃথিবীর প্রায় সব প্রাকৃতিক নীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে পড়বে। [3]
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘামের ফলে আমাদের শরীর থেকে দ্রুত পানি কমে যায়। তাই শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখতে ও হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করতে এই সময় স্বাভাবিকভাবেই বেশি পানি পান করতে হবে। এছাড়াও যথাসম্ভব সরাসরি রোদের তাপ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।