লাইফস্টাইল মোডিফাইয়ার? হ্যাঁ। ডাক্তারি চিকিৎসা? না।
ন্যাচারোপ্যাথি: ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির আলোচনায় যে চিকিৎসার সাথে আপনার পরিচিতি থাকা দরকার

লাইফস্টাইল মোডিফাইয়ার? হ্যাঁ। ডাক্তারি চিকিৎসা? না।
এই দাবীকে সমর্থন করে এমন কোনো তথ্য বা আইন কিংবা সংবাদ ফেসবুকের কিছু পোস্ট ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি মা দিবসে অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরীর একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আমরা এই বিতর্কের আলোচনা-সমালোচনা নয় বরং দৃষ্টিপাত করতে চাই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিক্রিয়ার উপর।
৫ মে, ২০২০ তারিখে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সাম্প্রদায়িক আচরণের শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠাতা পদত্যাগ করছেন – এমন একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সাম্প্রদায়িক আক্রমণের এই দাবী কতটুকু সত্য ও এসব আক্রমণের পিছনে রয়েছে কারা?
আইআরআই কর্তৃক এমন একটি জরিপ প্রকাশের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, তবে বাসস কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়।
আগস্ট ৪ তারিখে ধানমন্ডিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে নিতান্ত গুজব হিসেবে প্রমাণ করতে ও এই থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে, কিছু সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠী বানোয়াট ছবি প্রচার করছে। এসব ছবি ভাইরাল হওয়ার ফলে এই হামলার ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই যে কোন ছবি ও তথ্য শেয়ারের আগে সতর্ক থাকুন।
বাংলাদেশী একটি বেনামী পত্রিকা এই গুজবের প্রচার শুরু করলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে ২০১৭ সালের পরিসংখ্যানে ভারতের রেমিটেন্সের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম।
তাই এই জরিপ আন্তর্জাতিক গণমত তো দূরের কথা, জাতীয় গণমতকেও প্রতিনিধিত্ব করে না। এই জরিপ ও জরিপ পদ্ধতির দুর্বলতা ব্যবহার করে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে মাত্র।
প্রথমবার একটি দেশ যোগ্যতার সূচকগুলো উত্তীর্ণ করলে, তিন বছর পরের ত্রি-বার্ষিকী রিভিউতেও পুনরায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশ শুধু প্রথম ধাপ পার করেছে মাত্র।
একটি চকলেটে প্লাস্টিক পাওয়া যাওয়ায় ২০১৬ সালে মার্স কোম্পানি প্রায় ৫৬ দেশ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত কিছু চকলেট উঠিয়ে নেয়। তবে ক্যান্সার রোগের কারণ হিসেবে এই চকলেটটির উৎপাদন বন্ধ করার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান পার্লামেন্ট দেশটিতে চীনা ভাষা শিখানোর একটি প্রস্তাবনা অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এটিতে অন্যতম সরকারী ভাষা হিসেবে বদলের কোন নির্দেশনা নেই।
২০১৭ সালে ছিলো বিভিন্ন ইস্যুতে মুখরিত একটি বছর। তাই সুযোগসন্ধানী গুজব প্রচারকারীদের জন্য বছরটি ছিলো তাৎপর্যপূর্ন। রোহিঙ্গা বিতর্ক, ব্লু হোয়েল, নকল ডিম, নোবেল বিজয় ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ বছরের সবচেয়ে ভাইরাল গুজব নিয়ে আমাদের এই লেখা।